Title
মরমী কবি পাগলাকানাই এর মাজার
History
<div class="field field-type-text field-field-toirist-spot-trsportation"><div class="field-label">কিভাবে যাওয়া যায়: </div><div class="field-items"><div class="field-item odd">ঝিনাইদহ সদর হতে ৭ কি.মি দুরে অবস্থিত মরমী কবি পাগলাকানাই এর মাজার। ঝিনাইদহ হতে ব্যাটারী চালীত যে কোনা ছোট যানবহন এর মাধ্যামে খুব সহজে যাওয়া যায়। যারা নিজস্ব গাড়ী দ্বারা যাবেন তারা ঝিনাইদহ পাগলাকানাই হতে পশ্চিম দিকে কিছু দূর এসেই দক্ষিণ দিকে একটা রাস্তা পাবেন এই রাস্তা থেকে সোজা পথে ৫ কি. মি দূরেই অবস্থিত পাগলাকানাই এর মাজার।</div></div></div><div class="inner"><div class="content clearfix"><p style="text-align: center;"><strong>কবি পাগলা কানাই (১৮৯০-১৮৮৯)</strong></p><p> </p><p style="text-align: justify;">কবি পাগলাকানাই একজন প্রতিভাধর লোককবি ছিলেন। লোক-সাধনা ও মরমী সঙ্গীতের ঐতিহ্যমন্ডিত উর্বর ভূমি ঝিনাইদহের সন্নিকটে লেবুতলা (মতান্তরে বেড়বাড়ী) গ্রামে ১৮৯০ সালের মার্চ (বাংলা ১২২৬ সালের ২৫ফালগুন) মাসে তিনি জম্মগ্রহণ করেন। কুড়ন-মোমেনার তিন সন্তানের মধ্যে পাগলাকানাই ও উজল দু'পুত্র এবং স্বরনারী (মতান্তরে সরনারী) এক কন্যা।ছোটবেলা থেকেই পাগলাকানাই দুরন্ত প্রকৃতির, পাগলাটে স্বভাবের এবং অধ্যাত্ম প্রেমে উদ্বুদ্ধ ছিলেন। এ খেয়ালীপনার জন্যে শৈশবে স্মেহবশতঃ লোকে তাঁর নামের সাথে"পাগলা' অভিধাটি যুক্ত করে। তাঁর কর্মকীর্তির সাথে এ পাগলা উপাধিটি অভিন্ন সূত্রে গ্রথিত হয়েছে।</p><p style="text-align: justify;">বাল্যকালে পিতৃহারা হওয়ায় তিনি হয়ে ওঠেন ভবঘুরে। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে কানাইয়ের লেখাপড়া শেখা সম্ভব হয়নি। পিতার মৃত্যুর পর পাগলা কানাই লেবুতলা থেকে এসে কালীগঞ্জের ভাটপাড়া গ্রামে কিছুকাল অবস্থান করেন। পরবর্তী কালে হরিণাকুন্ডুর বলরামপুর ভরম মন্ডলের বাড়ী কিছুদিন রাখাল হিসেবে কাজ করার পর ভগ্নী স্বরনারীর শ্বশুরালয় বেড়বাড়ীতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। এ বেড়বাড়ী গ্রামই প্রকৃত পক্ষে কানাইয়ের কীর্তিধারিণী বলে পরিচিত। বোনের বাড়িতে তাঁর কাজ ছিল গরু চরানো। তিনি গরু চরাতে গিয়ে ধুয়ো জারীগান গাইতেন এবং উপস্থিত সবাই তাঁর সঙ্গীত মুগ্ধ হয়ে শুনত। এভাবে ধুয়োজারীতে তাঁর হাতে খড়ি হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর কোন সঙ্গীত শিক্ষা না থাকলেও এখানকার তৎকালীন আউল-বাউল, সাধু-ফকির প্রভৃতি গুণীজনের পদচারণা সর্বোচরি জীবন ও জগত সম্পর্কে কবি আত্মার আত্ম-জিজ্ঞাসা ও আত্ম-অন্বেষণ তাঁকে প্রখর অধ্যাত্মজ্ঞানে পরিপূর্ণ করে তোলে। তাঁর গানে ইসলাম ও আল্লাহর প্রিয় নবীর প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ পায় । পাগলা কানাই নিরক্ষর হলেও তাঁর স্মৃতি ও মেধা ছিল অত্যন্ত প্রখর। তিনি উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে একের পর এক গান রচনা করতে পারতেন।</p><p style="text-align: justify;">এ পর্যন্ত পাগলা কানাই রচিত গানের মধ্য মাত্র শ'তিনেক সংগৃহীত হয়েছে। মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন, ড, মাযহারুল ইসলাম, আবু তালিব, আমিন উদ্দিন শাহ, দুর্গাদাস লাহিড়ী, উপেন্দ্রনাথ ভট্রাচার্য প্রমুখ মনীষীগণ পাগলা কানাইয়ের গানের সংগ্রহ ও গবেষণা করেছেন। এ মহান বাউল কবি ১৮৮৯ সালের জুলাই (১২৯৬ সালের ২৮ আষাঢ়) ইহলোক ত্যাগ করেন।</p></div></div><div class="field field-type-text field-field-tourist-spot-location-new"><div class="field-label">অবস্থান: </div><div class="field-items"><div class="field-item odd">৮নং পাগলাকানই ইউনিয়ন পরিষদ এর ৯নং ওয়ার্ডের বেড়বাড়ী গ্রামে অবস্থিত।</div></div></div>